ইরানকে 'ভয়াবহ পরিণতির' হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের

ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার সর্বশেষ পালায়, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি ও স্বার্থ রক্ষায় সরাসরি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ওয়াশিংটন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকে (শুক্রবার, ১৩ জুন) আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক ব্যুরোর সিনিয়র কর্মকর্তা ম্যাককয় পিট বলেন, "আমাদের পরম ও অগ্রাধিকারের বিষয় হচ্ছে এই অঞ্চলে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিক, সেনা ও অবকাঠামোর নিরাপত্তা। কেউ যদি এগুলোর ওপর হামলার চেষ্টা করে, ইরানের জন্য তা হবে ভয়াবহ পরিণতির সূচনা।"

পিটের এ বক্তব্য আসে এমন এক প্রেক্ষাপটে, যখন ইসরায়েল ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দাবি করেছে, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরিও হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

এই ঘটনায় তেহরান তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার নাম দেওয়া হয়েছে "অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি"। এই পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, অন্তত ৬০ জন আহত হন, এক নারীর মৃত্যু হয় এবং হাজারো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে পালাতে বাধ্য হন।

এই প্রেক্ষাপটে ম্যাককয় পিট বলেন, “কোনো সরকার, প্রক্সি বা স্বাধীন সশস্ত্র পক্ষ কেউ যেন ভুল না করে। যদি আমেরিকান ঘাঁটি, নাগরিক বা অবকাঠামো হামলার লক্ষ্য হয়, ওয়াশিংটন তা শক্তভাবে মোকাবিলা করবে।” তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রকে আগেই জানানো হয়েছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা অভিযান সম্পর্কে, তবে এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র সামরিকভাবে সম্পৃক্ত ছিল না।

পিটের মন্তব্যে প্রতিধ্বনিত হয় ওয়াশিংটনের সেই দীর্ঘদিনের নীতিগত অবস্থান, যা বলে "ইসরায়েল আত্মরক্ষার অধিকার রাখে।" পিট বলেন, "প্রতিটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে ইসরায়েলও এর ব্যতিক্রম নয়।"

-রাফসান, নিজস্ব প্রতিবেদক