নেতানিয়াহু নিখোঁজ? বাংকারে নাকি দেশের বাইরে?

শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি বড় পরিসরের প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান। ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ নামের এই অভিযান শুরু হয় একযোগে শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে, যা শনিবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। হামলায় ইসরায়েলের বিভিন্ন শহর-অঞ্চলে ব্যাপক আতঙ্ক, ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

হামলার পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজকে একটি সুরক্ষিত বাংকারে সরিয়ে নেওয়া হয়। সিএনএন সূত্র বলছে, সেখান থেকেই তারা নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন। কিছু আন্তর্জাতিক সূত্রের দাবি, কৌশলগত কারণে নেতানিয়াহুকে বিদেশে, সম্ভবত গ্রিসে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যদিও এ তথ্যের আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা মেলেনি।

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের আকাশসীমায় প্রবেশ করলে বিভিন্ন শহরে আকাশচেরা আগুনের গোলা এবং আলোর রেখায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ শুরু করে, কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়নি।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, হামলায় ৬০ জনের বেশি আহত হন, যাদের মধ্যে একজন নারী পরবর্তীতে মারা যান এবং আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের অনেকেই হামলার সময় আশ্রয়কেন্দ্রে না থাকায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কৌশলগত নিরাপত্তার কারণে তার অবস্থান গোপন রাখা হয়েছে।

তেহরান দাবি করছে, ইসরায়েলের আগ্রাসনের জবাবে তাদের এই হামলা প্রতিশোধের একটি ন্যায়সঙ্গত পর্ব। ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ থেকে অনুমোদিত এই অভিযান এখন মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

-শরিফুল, নিজস্ব প্রতিবেদক