‘জন্তুর’ সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের তুলনা, ট্রাম্পের ভাষণ ঘিরে বিতর্ক

লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসন ইস্যুতে টানা কয়েকদিন ধরে চলা বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাত থেকে শহরের নির্দিষ্ট এলাকায় রাত্রীকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শহরের উপকণ্ঠে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে গণগ্রেপ্তার। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ (LAPD) এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কারফিউ কার্যকরের অংশ হিসেবে “বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলা করা হচ্ছে এবং গণগ্রেপ্তার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”

এর আগে শহরের ডাউনটাউন এলাকায় অভিবাসনবিরোধী অভিযানের প্রতিবাদে একাধিক বিক্ষোভ সংগঠিত হয়, যা দিন যত গড়িয়েছে, ততই উত্তপ্ত রূপ নিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন ব্যাস মঙ্গলবার কারফিউ ঘোষণা করেন। তার ভাষায়, “রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্যকর এ কারফিউ ডাউনটাউনের প্রায় এক বর্গমাইল এলাকা কভার করবে এবং এটি কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে।”

পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, বিক্ষোভ চলাকালে বেশ কিছু এলাকায় “অবৈধ ও সহিংস আচরণ” লক্ষ করা গেছে, যার ফলে জননিরাপত্তা এবং সম্পদের সুরক্ষায় কারফিউ ছিল অত্যন্ত জরুরি পদক্ষেপ। এলএপিডি প্রধান জিম ম্যাকডোনেল বলেন, “সাম্প্রতিক দিনগুলোতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে উত্তেজনা ও সহিংসতা বেড়ে গেছে, যার প্রতিকারে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

বিক্ষোভ পরিস্থিতির মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিতর্কিত মন্তব্য করে পরিস্থিতি আরও স্পর্শকাতর করে তুলেছেন। মঙ্গলবার, উত্তর ক্যারোলিনার ফোর্ট ব্র্যাগে সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার বিক্ষোভকারীদের “পেশাদার উসকানিদাতা” এবং “জন্তুর” সঙ্গে তুলনা করেন। তার বক্তব্যে উপস্থিত কিছু সেনা করতালির মাধ্যমে সাড়া দেন।

ট্রাম্পের এই মন্তব্য এমন সময় এল, যখন শহরে নিরাপত্তা জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন সেনা এবং প্রায় চার হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। অভিবাসন ইস্যুকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে আবারও মানবাধিকার ও রাজনৈতিক সহিষ্ণুতার প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে।

-অনন্যা, নিজস্ব প্রতিবেদক