অবশেষে মুখ খুলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইলন মাস্ক কি আসলেই মাদক সেবন করেন?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশেষে মুখ খুলেছেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে ওঠা মাদক সেবনের অভিযোগ নিয়ে। ট্রাম্প প্রশাসনের সময় প্রতিষ্ঠিত সরকারি ব্যয় হ্রাস কমিটি ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিএ)’–এর প্রধান হিসেবে মাস্ক দায়িত্ব পালন করার সময় থেকেই এসব গুঞ্জনের সূচনা।

১০ জুন (মঙ্গলবার) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মাস্কের বিরুদ্ধে কেটামিন, এক্সট্যাসি এবং সাইকেডেলিক মাশরুম ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। নিউইয়র্ক টাইমসের একটি অনুসন্ধানে দাবি করা হয়েছে, ট্রাম্পের ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয় থাকার সময় মাস্ক নিয়মিতভাবে এসব মাদক সেবন করেছেন। এমনকি তিনি একটি ওষুধের বাক্স বহন করতেন, যাতে অন্তত ২০টি ট্যাবলেট ছিল, যার মধ্যে ADHD চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্টিমুল্যান্ট 'অ্যাডেরাল'-এর অস্তিত্ব থাকারও দাবি করা হয়।

তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, “আমি জানি না। আমার মনে হয় না। আমি চাইও না এটা সত্য হোক।” তিনি আরও বলেন, ইলন মাস্কের সঙ্গে তার সম্পর্ক ‘ভালো’ ছিল এবং তিনি মাস্কের মঙ্গল কামনা করেন।

উল্লেখ্য, মাস্ক ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারণায় প্রায় ২৭৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে দুজনের মধ্যে কিছু মতবিরোধ দেখা দিয়েছে, তবে ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে মাস্কের বিরুদ্ধে ওঠা সাম্প্রতিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সবচেয়ে স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া হিসেবে ধরা হচ্ছে।

অন্যদিকে, মাস্ক এক্স (সাবেক টুইটার)–এ পোস্ট করে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি লেখেন, “আমি স্পষ্ট করে বলছি আমি মাদক সেবন করি না। নিউইয়র্ক টাইমস পুরোপুরি মিথ্যা বলেছে।” তিনি আরও জানান, কয়েক বছর আগে ডাক্তারের পরামর্শে সীমিত পরিমাণে প্রেসক্রিপশন কেটামিন নিয়েছিলেন, যা তিনি পূর্বেও প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন। তার ভাষায়, “এটি আমাকে গভীর মানসিক অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছিল, তবে এরপর আর সেটি গ্রহণ করিনি।”

এই বিতর্ক আরও গভীরতর দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম দিচ্ছে বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের মানসিক স্বাস্থ্য, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা এবং জনসাধারণের আস্থার প্রশ্নে।