ত্রাণ নাকি ট্রিগার? গাজার পথে নরম বার্তা পেলো কঠিন জবাব

গাজার ওপর ইসরায়েলের অব্যাহত অবরোধ ভাঙার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ত্রাণবাহী জাহাজ ‘ম্যাডলিন’কে আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকেই আটক করেছে ইসরায়েলি নৌবাহিনীর কমান্ডোরা। ভূমধ্যসাগরে গাজা উপকূল থেকে প্রায় ১০০ নটিক্যাল মাইল দূরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে জাহাজটিকে ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ১২ জন কর্মী ও সাংবাদিককে হেফাজতে নেওয়া হয়।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গ, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ফরাসি সদস্য রিমা হাসান, আল-জাজিরার সাংবাদিক ওমর ফাইয়াদসহ বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা। তাদের সবাইকে তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি আটক কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

আইনজীবী সংগঠন ‘আদালা’ জানিয়েছে, আটককৃতদের সঙ্গে আইনজীবীদের সাক্ষাতের আবেদন বারবার করা হলেও দেরিতে অনুমতি দেওয়া হয়। বর্তমানে আইনজীবী দল ও বিভিন্ন দেশের কনস্যুলার প্রতিনিধিরা বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে অনেকে ফেরত যাওয়ার নথিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন এবং আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েল ত্যাগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে যারা দেশে ফেরার নথিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানাবেন, তাদের ইসরায়েলি আইনের অধীনে বিচারিক প্রক্রিয়ার মুখোমুখি করা হবে, যার মাধ্যমে তাদের জোরপূর্বক বিতাড়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জাহাজ ‘ম্যাডলিন’ গাজার ওপর চলমান ইসরায়েলি অবরোধকে আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী দাবি করে তা ভাঙার উদ্দেশ্যে ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমা ব্যবহার করে গাজা উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। মানবিক সহায়তা ও অবরোধের প্রতিবাদ জানিয়ে পরিচালিত এ অভিযানে অংশগ্রহণকারীদের আটকের ঘটনা আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের দখল নীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে।

-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক