“মাস্ক পরা ব্যক্তিদের এখনই গ্রেপ্তার করা হোক।”

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনবিরোধী আন্দোলন আরও তীব্র রূপ নিচ্ছে, বিশেষ করে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে, যেখানে বিক্ষোভ ইতোমধ্যেই সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মাস্ক পরা নিষিদ্ধ এবং নির্দেশ অমান্যকারীদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার।

সোমবার (৯ জুন) ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির বরাতে জানা যায়, ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এক বার্তায় বলেন, “মাস্ক পরা ব্যক্তিদের এখনই গ্রেপ্তার করা হোক।” এর আগে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, বিক্ষোভে মুখ ঢেকে অংশগ্রহণ করা যাবে না। তবে এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইনের আওতায় কতটা বৈধ, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের মুখে মাস্ক পরার পেছনে দুটি প্রধান কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিবেদনটি একটি হলো পরিচয় গোপন রাখা, এবং অপরটি কাঁদানে গ্যাস ও বিস্ফোরণের ধোঁয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রয়াস। তবে ট্রাম্পের মতে, মাস্কের আড়ালে অনেকেই সহিংসতা ছড়ানোর সুযোগ নিচ্ছে।

এই বিক্ষোভ মূলত ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে আয়োজিত হয়েছে। অভিবাসন দপ্তরের চলমান অভিযানে ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইতোমধ্যে ১১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এর প্রতিবাদেই লস অ্যাঞ্জেলেসে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়, যা পরবর্তীতে দমন করতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়।

এদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট গভর্নর গ্যাভিন নিউসম এই মোতায়েনকে "অবৈধ ও অনৈতিক" বলে আখ্যায়িত করেছেন। যদিও লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ জানিয়েছে, আইন অমান্য করায় অন্তত ২৭ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স আরও সেনা মোতায়েনের ইঙ্গিত দিলেও, হোয়াইট হাউস এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, পরিস্থিতির ওপর "ঘনিষ্ঠ নজর" রাখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

-রাফসান, নিজস্ব প্রতিবেদক