নতুন ৫ অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হলো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়েছে নতুন পাঁচটি অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র—বাহরাইন, কলম্বিয়া, কঙ্গো, লাটভিয়া ও লাইবেরিয়া। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সাধারণ পরিষদের ভোটাভুটিতে দেশগুলো নির্ধারিত সংখ্যক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়।

জাতিসংঘের সবচেয়ে ক্ষমতাধর অঙ্গ নিরাপত্তা পরিষদ ১৫ সদস্যবিশিষ্ট। এর মধ্যে পাঁচটি স্থায়ী সদস্য—যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্স—ভেটো ক্ষমতা রাখে। বাকি ১০টি সদস্য দেশ অস্থায়ী, যাদের মধ্যে প্রতিবছর ৫টি নতুন দেশ যোগ হয় এবং ২ বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালন করে।

নবনির্বাচিত বাহরাইন, কঙ্গো, লাটভিয়া, লাইবেরিয়া এবং কলম্বিয়া স্থান নিচ্ছে বর্তমান অস্থায়ী সদস্য আলজেরিয়া, সিয়েরা লিওন, দক্ষিণ কোরিয়া, গায়েনা এবং স্লোভেনিয়ার জায়গায়। এই দেশগুলো ২০২4-25 মেয়াদ শেষ করে জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে।

ভোটে শক্ত অবস্থান নিয়ে এগিয়ে এসেছে নতুন সদস্য দেশগুলো:

• বাহরাইন: ১৮৬ ভোট
• কঙ্গো: ১৮৩ ভোট
• লাইবেরিয়া: ১৮১ ভোট
• কলম্বিয়া: ১৮০ ভোট
• লাটভিয়া: ১৭৮ ভোট

এই পাঁচটি দেশই তাদের নিজ নিজ আঞ্চলিক গ্রুপে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিল, তবে জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোট পেয়ে নির্বাচিত হতে হয়।

নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদ বণ্টনে আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষা করা হয়:

• আফ্রিকা ও এশিয়া: ৩টি আসন
• লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয়: ২টি
• পূর্ব ইউরোপ: ১টি
• পশ্চিম ইউরোপ ও অন্যান্য: ২টি
• পর্যায়ক্রমে ঘূর্ণায়মান আসন: ২টি

এই কাঠামোর মাধ্যমে বিশ্বের নানা অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয় যাতে বৈশ্বিক স্বার্থ সমভাবে প্রতিফলিত হয়।

এছাড়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের পরবর্তী ৮০তম অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জার্মানির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বায়েরবোক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আগামী সেপ্টেম্বর থেকে এ দায়িত্ব পালন শুরু করবেন।

নতুন নির্বাচিত পাঁচ দেশের উপস্থিতি নিরাপত্তা পরিষদে বৈচিত্র্য ও ভিন্ন ভিন্ন আঞ্চলিক মতামত যুক্ত করবে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বাহরাইন এবং আফ্রিকার লাইবেরিয়া ও কঙ্গো—তাদের ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করতে পারে।

সূত্র: রয়টার্স