‘নগদ’-এ দুদকের অভিযান

দেশের অন্যতম ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম ‘নগদ’-এর বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম এবং মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত নানা অভিযোগ তদন্তে দুদকের দুটি পৃথক এনফোর্সমেন্ট টিম নগদের কার্যালয়ে অভিযান চালায়।

রোববার (১ জুন) রাজধানীর বনানীতে ‘নগদ’-এর প্রধান কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে দুদকের একটি টিম। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কমিশনের সহকারী পরিচালক রবিউল ইসলাম। অভিযানের সময় প্রতিষ্ঠানটির নিয়োগ প্রক্রিয়া, আর্থিক লেনদেন এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের নথিপত্র পরীক্ষা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পরিচালক তানজির আহমেদ।

এর আগে, ১২ ফেব্রুয়ারি আরেকটি অভিযান চালানো হয় নগদ কার্যালয়ে। সে অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ নিজে। ওই অভিযানে মূলত বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানেই কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

দুদকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে বিপুল অঙ্কের টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, দেশে প্রায় পাঁচ হাজারের মতো অবৈধ এমএফএস এজেন্ট সক্রিয় রয়েছে, যারা গত এক বছরে প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নগদ ছাড়াও অন্যান্য এমএফএস প্ল্যাটফর্মগুলোও পর্যায়ক্রমে তদন্তের আওতায় আসবে।

দুদকের কর্মকর্তারা জানান, শুধু অর্থপাচার নয়, ‘নগদ’-এর নিয়োগ প্রক্রিয়া, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ, আর্থিক অস্বচ্ছতা এবং অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির অভিযোগও তদন্তের আওতায় রয়েছে।

এ বিষয়ে ‘নগদ’ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিষ্ঠানটির একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা অনানুষ্ঠানিকভাবে জানান, “আমরা দুদককে সব ধরনের সহযোগিতা করছি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়।”