বিএনপির সঙ্গে সিট ভাগাভাগির অভিযোগ ভিত্তিহীন: হাসনাত আবদুল্লাহ

সম্প্রতি একটি অনলাইন টকশোতে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গোপন সিট ভাগাভাগি নিয়ে ওঠা অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা দাবি করে এর জবাব দিয়েছেন দলটির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। শনিবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই বিষয়ে দলের স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেন।

পোস্টে হাসনাত বলেন, “সম্প্রতি আমরা লক্ষ করেছি, একটি দলের প্রধান এক অনলাইন টকশোতে মন্তব্য করেছেন, ‘এনসিপি কিন্তু পর্দার অন্তরালে বিএনপির সঙ্গে সিট নেগোসিয়েশন করেছে।’ আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, বিএনপি বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির কোনো আলোচনা বা সমঝোতা হয়নি। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।”

তিনি জানান, এনসিপি এখন পর্যন্ত দেশের সার্বিক সাংগঠনিক বিস্তৃতি এবং দলীয় কাঠামো গঠনের ওপর জোর দিচ্ছে। এছাড়াও দলটির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা।

হাসনাত আরও বলেন, “বিভিন্ন মাধ্যমে এনসিপিকে নিয়ে এই ইম্প্রেশন তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে যে, এনসিপি নির্বাচন পেছাতে চায়। অথচ দলটি আত্মপ্রকাশের পর থেকেই ‘বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ’ দাবি করে আসছে। এনসিপির অবস্থান হলো—আগামী নির্বাচন অবশ্যই জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে হতে হবে। এজন্য প্রয়োজন প্রশাসনিক সংস্কার এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।”

তিনি আরও যোগ করেন, “যদি সংস্কার ছাড়া নির্বাচন আয়োজন করা হয়, তবে তা একচেটিয়া ও একপেশে হওয়ার ঝুঁকি বহন করবে। এনসিপি মনে করে, সংস্কার নিশ্চিত করে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।”

হাসনাত আবদুল্লাহ তার পোস্টে “জুলাই চার্টার”-এর ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক রূপরেখা প্রণয়নের দাবি জানান। তিনি লেখেন, “এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জুলাই চার্টারের ভিত্তিতে সংস্কার কার্যক্রম চালু করে একটি সুষ্ঠু গণপরিষদ ও আইনসভার নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। সেইসঙ্গে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্রও প্রকাশ করতে হবে।”

সবশেষে তিনি বলেন, “এনসিপি চায় না যেনতেন বা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়। বরং অর্থবহ সংস্কার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটুক—এই লক্ষ্যেই এনসিপির পথচলা। এনসিপি সকল রাজনৈতিক শক্তিকে বিভ্রান্তি এড়িয়ে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানায়।”