সাবেক মন্ত্রীসহ ১০ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান, মিল্কভিটার সাবেক চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু, গাজীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলমসহ ১০ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দাখিল করা চারটি পৃথক আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অন্য ব্যক্তিরা হলেন মিল্কভিটার কর্মকর্তা শামসুল আরেফিন, সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের স্ত্রী চিকিৎসক মির্জা নাহিদা হোসেন, পুলিশ কর্মকর্তা কাজী শফিকুলের স্ত্রী জিনিয়া ফারজানা ও কন্যা কাজী আরিয়া বিনতে শফিক এবং কাজী আনুষা বিনতে শফিক। এ তালিকায় রয়েছেন সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রীর এপিএস আ.ন.ম আহমাদুল বাশার ও তার স্ত্রী হাকিমুন নাহার।

দুদক সূত্রে জানা যায়, সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ছয় কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ব্যাংকিং মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ২৬ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মানিলন্ডারিং মামলার তদন্ত চলছে।

অন্যদিকে, মিল্কভিটার সাবেক চেয়ারম্যান লিপু ও কর্মকর্তা শামসুল আরেফিনের বিরুদ্ধে সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পে শত শত কোটি টাকা লুটপাট, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা কাজী শফিকুল আলম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জনের অভিযোগ এবং বিদেশে পলায়নের শঙ্কা।

সাবেক এপিএস আ.ন.ম আহমাদুল বাশার ও তার স্ত্রী হাকিমুন নাহারের বিরুদ্ধেও সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজেদের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত চলছে।

দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে এসব ব্যক্তির বিদেশ গমন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ব্লক করাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। আদালত তা বিবেচনায় নিয়ে তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, এসব মামলার তদন্ত দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করে দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই পদক্ষেপে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রতিফলন ঘটেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক