হার্ভার্ডকে শাস্তি দিচ্ছেন ট্রাম্প?

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প তাঁদের সন্তান ব্যারন ট্রাম্পকে ঘিরে ছড়িয়ে পড়া একটি ভুয়া তথ্যের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো একটি ষড়যন্ত্রমূলক দাবিতে বলা হয়—ব্যারন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করেছিলেন এবং সেই আবেদন নাকচ করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার (২৭ মে) মেলানিয়ার মুখপাত্র এই দাবিকে “সম্পূর্ণ মিথ্যা” বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

মেলানিয়ার যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক নিকোলাস ক্লেমেন্স স্পষ্টভাবে বলেন, “ব্যারন হার্ভার্ডে আবেদন করেননি। তাঁর হয়ে কেউ আবেদন করেছেন—এ দাবিও মিথ্যা। এটি পরিকল্পিত ভুল তথ্য।” এই ঘোষণার মাধ্যমে ব্যাপক অনলাইন গুজব এবং রাজনৈতিক আলোচনার অবসান ঘটেছে।

ব্যারনকে নিয়ে এই গুজব ছড়িয়ে পড়ার পেছনে রয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অবস্থান। চলতি মাসেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দকৃত আরও ১০ কোটি ডলারের সরকারি অনুদান বাতিল করেছেন তিনি। এর ফলে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ট্রাম্প কর্তৃক বাতিল করা তহবিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার।

এ ছাড়া আইভি লিগভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তহবিল বাতিল এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের হুমকির মুখে ফেলার উদ্যোগ নিয়েও ডোনাল্ড ট্রাম্প সমালোচিত হয়েছেন। এসব প্রেক্ষাপটে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, হয়তো ব্যারন হার্ভার্ডে আবেদন করেছিলেন এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেই তা নাকচ হয়েছে।

বর্তমানে ১৯ বছর বয়সী ব্যারন ট্রাম্প নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টার্ন স্কুল অব বিজনেসে প্রথম বর্ষ শেষ করেছেন। ২০২৪ সালে তিনি ফ্লোরিডার অক্সব্রিজ একাডেমি থেকে হাইস্কুল শেষ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৮ সালে তার স্নাতক সম্পন্ন হবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন, ব্যারন প্রযুক্তিতে খুব দক্ষ এবং ভবিষ্যতে ব্যবসা বা রাজনীতির একটিতে ভালো করবেন। বিভিন্ন প্রচারণায় বাবার সঙ্গে অংশগ্রহণ এবং রাজনৈতিক আগ্রহের কথা ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে এসেছে।

ট্রাম্প পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন:

• ডোনাল্ড ট্রাম্প: ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার হোয়ার্টন স্কুল (১৯৬৮)
• ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ও ইভাঙ্কা ট্রাম্প: হোয়ার্টন স্কুল
• এরিক ট্রাম্প ও টিফানি ট্রাম্প: জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়

তবে ব্যারনের বিষয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি। তবে পরিবার থেকে যে স্পষ্ট বার্তা এসেছে, তা অনলাইন গুজবের জবাব হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে